স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি স্ক্রিনের দিকে। হাত কাঁপছে ।
এত দিন, এতবছর পর সেই চিরচেনা নাম্বার থেকে আবারও ফোন এসেছে
বিশ্বাস হচ্ছে না । আজও নাম্বারটা দেখে হৃদস্পন্দন কয়েকগুণ বেড়ে যায় ।
মনের মাঝে প্রবল ঝড় বয়ে যায় । শেষপর্যন্ত রিসিভ করেই ফেল্লাম ।
ওপাশ থেকে শুনতে পেলাম সেই পরিচিত কন্ঠস্বর ।
এতবছর পরও একটুও বদলায়নি । সেই আগের মতই আছে ........
: হ্যালো .................................
কি হল? কিছু বলছ না যে?
: না.... আসলে আজ এত বছর পর এই নাম্বার থেকে ফোন আশা করতে পারিনি ।
: হ্যালো .................................
কি হল? কিছু বলছ না যে?
: না.... আসলে আজ এত বছর পর এই নাম্বার থেকে ফোন আশা করতে পারিনি ।
তাই বুঝতে পারছিনা যে কি বলব ।
: কয়েকদিন থেকেই তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল ।
কিন্তু ফোন করার ঠিক সাহস পাচ্ছিলাম না ।
: কয়েকদিন থেকেই তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল ।
কিন্তু ফোন করার ঠিক সাহস পাচ্ছিলাম না ।
কাল থেকে তোমার কন্ঠ শোনার খুব ইচ্ছে করছিল । কোনও ভাবেই মনকে মানাতে পারছিলামনা।
তাই আজ সাহস করে ফোনটা দিয়েই দিলাম ।
কেমন আছ তুমি ?
: মানুষ বদলে যায় কিন্তু তাদের কন্ঠ বদলায়না ।
: মানুষ বদলে যায় কিন্তু তাদের কন্ঠ বদলায়না ।
হুম......আছি। ভাল থাকার চেষ্টায় আছি।
: আমি কেমন আছি জানতে চাইবে না ?
: নাহ.....প্রয়োজন নেই ।
: আমি কেমন আছি জানতে চাইবে না ?
: নাহ.....প্রয়োজন নেই ।
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা সবসময় ভাল থাকে । তুমি হচ্ছ তাদের একজন ।
: কিছুক্ষন নিরব থেকে........... আমার কথা মনে পড়েনি তোমার ?
: হ্যা পড়েছে । অনেক মনে পড়েছে ।
: কিছুক্ষন নিরব থেকে........... আমার কথা মনে পড়েনি তোমার ?
: হ্যা পড়েছে । অনেক মনে পড়েছে ।
যথন কষ্টে দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতাম
তখন মনে পড়ত "তুমি ঠিকমত খাচ্ছ তো?"
যখন রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে,কেঁদে কেঁদে অসুস্থ হয়ে পড়তাম
তখন মনে পড়ত "তুমি সুস্থ আছ তো?"
যখন কোন আনন্দোত্সবে সবাই হইচই আর আনন্দে মেতে উঠত
আর আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে অন্ধকারে বসে থাকতাম
আর আমি ঘরের দরজা বন্ধ করে অন্ধকারে বসে থাকতাম
তখন মনে পড়ত "তুমি সবারসাথে খুশি আর আনন্দে মেতে উঠছ তো?"
যখন আয়নায় নিজের অযত্ন অবহেলায় শুকিয়ে যাওয়া চেহারাটার দিকে তাকাতাম
যখন আয়নায় নিজের অযত্ন অবহেলায় শুকিয়ে যাওয়া চেহারাটার দিকে তাকাতাম
তখন মনে পড়ত "তুমি নিশ্চই আরোও সুন্দর হয়ে গেছ ।"
একসময় অনেক মনে পড়েছে । এখন আর পড়ে না ।
একসময় অনেক মনে পড়েছে । এখন আর পড়ে না ।
এখন এত সময় কই এগুলো মনে পড়ার?
:(ওপাশে আবারও নিরবতা ......) আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না?
:ক্ষমা তো তুমি আমাকে করবে।
:(ওপাশে আবারও নিরবতা ......) আমাকে কি ক্ষমা করা যায় না?
:ক্ষমা তো তুমি আমাকে করবে।
কারন তোমায় ভালবেসে তোমার সুখে তো আমি বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলাম।
তাই তোমার কাছে আজ আমার ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
আর তোমাকে ক্ষমা করার কথা বলছ? তা তো আমি অনেক আগেই করে দিয়েছি ।
কারণ তোমায় ক্ষমা না করলে আমার মনে তোমার দেয়া কষ্টগুলোর ক্ষত যে কোনভাবেই শুকাত না ।
আচ্ছা এখন তাহলে রাখি । এখন আমার আকাশ দেখার সময় ।
প্রতিদিন রাতে এইসময় আমি আকাশ দেখি । আকাশের সাথে কথা বলি ।
আকাশ কখনো আমার সাথে ছলনা করেনা ।
প্রতিরাতে সে তারার ঝুলি নিয়ে আমার সামনে হাজির হয় ।
: একরাত আকাশের সাথে কথা না বল্লে হয় না?
আমার সাথে কথা বলা থেকে আকাশের সাথে কথা বলা কি খুব বেশি জরুরী?
: আপাতত তাই । আমার চরম অসহায়ত্ব আর একাকিত্বের সময় এই আকাশ আমায় সঙ্গ দিয়েছে ।
যে এতগুলো বছর আমায় দূরে সরিয়ে রেখেছিল
তার জন্য আমি আমার এত বছরের পাশে থাকা সঙ্গীকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবনা ।
আচ্ছা আমি এখন যাব । রাতের আকাশ আমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
আজ খুব সুন্দর একটা চাঁদও উঠেছে আকাশে । আজ চাঁদের সাথেও কথা বলব ......
ফোনটা কেটে দিলাম । বারান্দায় এসে দাড়ালাম ।
আকাশের বুকে গোল একটা চাঁদ উঠেছে । তাকিয়ে আছি ।
খুব কষ্ট হচ্ছে । সেই তিনবছর আগের মত কষ্ট যখন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে ।
কি দোষ ছিল আমার? কেন চলে গিয়েছিলে?? আজও তা আমি জানিনা ।
তারপরও অটুট বিশ্বাস আর আশা ধরে রেখেছিলাম একদিন তুমি আসবে ।
আমি অপেক্ষা করেছি। অনেক অপেক্ষা করেছি ।
কিন্তু তুমি আসনি।
ভেবেছিলাম যেদিন তোমার ফোন আসবে খুশিতে চিত্কার দেব ।
তোমার পানে ছুটে চলে যাব ।
আফসোস!দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় কিন্তু তুমি আসনা ।
যেই বাবা-মা আমায় এতটা ভালবাসতেন সেই তাদেরকে পর্যন্ত বলে দিলাম বিয়ে করবনা ।
বাবার দীর্ঘঃশ্বাস,দুঃখভরাক্রান্ত মন সবই উপেক্ষা করতাম ।
ঠিক পাঁচমাস আগে বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে গেলেন ।
এই বয়সে এত টেনশন ওনার সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।
বাবার অসুস্থতার জন্য কোন না কোন ভাবে আমি দায়ী ।
কারণ বাবার সব টেনশন ছিল আমাকে নিয়ে ।
সারাদিন বাবার হাত ধরে বসে থাকতাম ।
এই সবকিছু হয়েছিল তোমার জন্যে।
কারন তোমাকে ভালবাসি বলে অন্য কাউকে বিয়ের কথা চিন্তাও করতে পারিনি।
যদিও তুমি আজ অন্যকে বিয়ে করে সুখী আছ।
কিন্তু আমি পারিনি তোমার মত এতটা নিষ্ঠুর হতে, পারিনি এতটা স্বার্থপর হতে ।
তুমি তো অনেক স্বার্থপর হতে পেরেছিলে,তাই তো আমার এত কষ্ট
আর ভালবাসাকে উপেক্ষা করে চলে গিয়েছিলে শুধু একটু মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে ।
কিন্তু আমি পারিনা,পারবনা এত স্বার্থপর হতে ।
পারবনা নিজের ভালবাসাকে ভুলে অপর কাউকে বিয়ে করতে।
আর তোমাকে ক্ষমা করার কথা বলছ? তা তো আমি অনেক আগেই করে দিয়েছি ।
কারণ তোমায় ক্ষমা না করলে আমার মনে তোমার দেয়া কষ্টগুলোর ক্ষত যে কোনভাবেই শুকাত না ।

প্রতিদিন রাতে এইসময় আমি আকাশ দেখি । আকাশের সাথে কথা বলি ।
আকাশ কখনো আমার সাথে ছলনা করেনা ।
প্রতিরাতে সে তারার ঝুলি নিয়ে আমার সামনে হাজির হয় ।
: একরাত আকাশের সাথে কথা না বল্লে হয় না?
আমার সাথে কথা বলা থেকে আকাশের সাথে কথা বলা কি খুব বেশি জরুরী?
: আপাতত তাই । আমার চরম অসহায়ত্ব আর একাকিত্বের সময় এই আকাশ আমায় সঙ্গ দিয়েছে ।
যে এতগুলো বছর আমায় দূরে সরিয়ে রেখেছিল
তার জন্য আমি আমার এত বছরের পাশে থাকা সঙ্গীকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবনা ।
আচ্ছা আমি এখন যাব । রাতের আকাশ আমার জন্য অপেক্ষা করছে ।
আজ খুব সুন্দর একটা চাঁদও উঠেছে আকাশে । আজ চাঁদের সাথেও কথা বলব ......
ফোনটা কেটে দিলাম । বারান্দায় এসে দাড়ালাম ।
আকাশের বুকে গোল একটা চাঁদ উঠেছে । তাকিয়ে আছি ।
খুব কষ্ট হচ্ছে । সেই তিনবছর আগের মত কষ্ট যখন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলে ।
কি দোষ ছিল আমার? কেন চলে গিয়েছিলে?? আজও তা আমি জানিনা ।
তারপরও অটুট বিশ্বাস আর আশা ধরে রেখেছিলাম একদিন তুমি আসবে ।
আমি অপেক্ষা করেছি। অনেক অপেক্ষা করেছি ।
কিন্তু তুমি আসনি।
ভেবেছিলাম যেদিন তোমার ফোন আসবে খুশিতে চিত্কার দেব ।
তোমার পানে ছুটে চলে যাব ।
আফসোস!দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় কিন্তু তুমি আসনা ।
যেই বাবা-মা আমায় এতটা ভালবাসতেন সেই তাদেরকে পর্যন্ত বলে দিলাম বিয়ে করবনা ।
বাবার দীর্ঘঃশ্বাস,দুঃখভরাক্রান্ত মন সবই উপেক্ষা করতাম ।
ঠিক পাঁচমাস আগে বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে গেলেন ।
এই বয়সে এত টেনশন ওনার সাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ।
বাবার অসুস্থতার জন্য কোন না কোন ভাবে আমি দায়ী ।
কারণ বাবার সব টেনশন ছিল আমাকে নিয়ে ।
সারাদিন বাবার হাত ধরে বসে থাকতাম ।
এই সবকিছু হয়েছিল তোমার জন্যে।
কারন তোমাকে ভালবাসি বলে অন্য কাউকে বিয়ের কথা চিন্তাও করতে পারিনি।
যদিও তুমি আজ অন্যকে বিয়ে করে সুখী আছ।
কিন্তু আমি পারিনি তোমার মত এতটা নিষ্ঠুর হতে, পারিনি এতটা স্বার্থপর হতে ।
তুমি তো অনেক স্বার্থপর হতে পেরেছিলে,তাই তো আমার এত কষ্ট
আর ভালবাসাকে উপেক্ষা করে চলে গিয়েছিলে শুধু একটু মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে ।
কিন্তু আমি পারিনা,পারবনা এত স্বার্থপর হতে ।
পারবনা নিজের ভালবাসাকে ভুলে অপর কাউকে বিয়ে করতে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি ।
চোখদুটো ঝাপসা হয়ে আসছে । দু
ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে ।
মনে মনে বল্লাম,
"কষ্ট কষ্ট কষ্ট রে তুই কি যাবিনা আমায় ছেড়ে"
চোখদুটো ঝাপসা হয়ে আসছে । দু
ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল চোখ দিয়ে ।
মনে মনে বল্লাম,
"কষ্ট কষ্ট কষ্ট রে তুই কি যাবিনা আমায় ছেড়ে"
Note: ভালবাসা এমনই এক জিনিস যা ভুলা খুবই কষ্টকর
পুরো গল্পটি pdf আকারে ডাওনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
(লিঙ্কে ক্লিক করে উপরের ডান পাশ থেকে Skip Ad এ ক্লিক করুন)
MUHIBBULLAH MASRUR
লেখাটি ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে যানাবেন
No comments:
Post a Comment