আমার মনে হয় শুধু বেষ্ট ফ্রেন্ড নয়,
আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়ে জীবন ভরিয়ে দিয়েছেন,
আর সেই অনেক কিছুর মধ্যে সবচেয়ে সেরা উপহারটি হল এই
মেয়েটি। জীবন সবচেয়ে সেরা বন্ধু, আমার
সুখ-দুখের একমাত্র ভাগিদার এই মেয়েটিই।
সেই ক্লাস ফাইভ থেকেই আমরা একে অপরকে চিনতাম।
মেয়েটি। জীবন সবচেয়ে সেরা বন্ধু, আমার
সুখ-দুখের একমাত্র ভাগিদার এই মেয়েটিই।
সেই ক্লাস ফাইভ থেকেই আমরা একে অপরকে চিনতাম।
একই স্কুলে পড়তাম। তারপর, কলেজ লাইফের
দুটি বছরও এক কলেজেই কেটে গেল দেখতে দেখতে।
দুটি বছরও এক কলেজেই কেটে গেল দেখতে দেখতে।
তারপর এল ইউনিভার্সিটির লাইফ।
সৌভাগ্যক্রমে দুজনই ঢাবিতে চান্স পেয়ে গেলাম।
তাও আবার একই সাবজেক্টে। স্বপ্নের মতই
লাগছিল সবকিছু, কিন্তু আসলে সব বাস্তব ছিল।
ছেলেবেলায় আমি অনেকটা হাবাগোবা টাইপের ছিলাম।
লাগছিল সবকিছু, কিন্তু আসলে সব বাস্তব ছিল।
ছেলেবেলায় আমি অনেকটা হাবাগোবা টাইপের ছিলাম।
তখন বাবার চাকুরিটাও দোদুল্যমান অবস্থায় ছিল,
পারিবারিক অবস্থাও সুবিধের ছিল না আমাদের্।
ক্লাসের সবাই যেমন চার পাচ
মাস পর পর নতুন নতুন স্কুল ড্রেস
পড়তো, আমি সেরকমটা পারতাম না। একই
সাদা শার্ট অনেক দিন ব্যবহারের
ফলে লালচে হয়ে যেত, পিঠের উপরের
দিকে কাপড়টা পাতলা হয়ে যেত। আর এজন্যই
সম্ভবত ক্লাসের কেউই আমার
সাথে মিশতে চাইতো না। কিন্তু তানিশা,
নির্দিধায় আমার সাথে বন্ধুত্ব করেছিল। অন্য কেউ
কথা না বললেও তানিশা প্রতিদিন আমার
সাথে ঠিকই কথা বলতো।
তানিশা আমাদের ক্লাসে সবসময় প্রথম হতো।
আর আমি সবার পরের সিরিয়ালে অবস্থান
করতাম প্রতিবারই। অথচ আমার সাথে
মাস পর পর নতুন নতুন স্কুল ড্রেস
পড়তো, আমি সেরকমটা পারতাম না। একই
সাদা শার্ট অনেক দিন ব্যবহারের
ফলে লালচে হয়ে যেত, পিঠের উপরের
দিকে কাপড়টা পাতলা হয়ে যেত। আর এজন্যই
সম্ভবত ক্লাসের কেউই আমার
সাথে মিশতে চাইতো না। কিন্তু তানিশা,
নির্দিধায় আমার সাথে বন্ধুত্ব করেছিল। অন্য কেউ
কথা না বললেও তানিশা প্রতিদিন আমার
সাথে ঠিকই কথা বলতো।
তানিশা আমাদের ক্লাসে সবসময় প্রথম হতো।
আর আমি সবার পরের সিরিয়ালে অবস্থান
করতাম প্রতিবারই। অথচ আমার সাথে
কথা বলতে তার কোন সংকোচ ছিল না।
এজন্য ক্লাসের সেকেন্ড কিংবা থার্ড, ফোর্থ সিরিয়ালের
স্টুডেন্টরা তানিশাকে অনেক কিছু বলতো।
আমি ছাত্র ভাল নই, ছেলে হিসেবেই খারাপ,
স্টুডেন্টরা তানিশাকে অনেক কিছু বলতো।
আমি ছাত্র ভাল নই, ছেলে হিসেবেই খারাপ,
আমার কাপড়-চোপড় নোংড়া এমন
অনেক অভিযোগ তানিশা না দেখেই দুরে হটিয়ে দিত।
অনেক অভিযোগ তানিশা না দেখেই দুরে হটিয়ে দিত।
এক পর্যায়ে দেখলাম শুধু মাত্র আমার সাথে
কথা বলতে নিষেধ করায় তানিশা সেই ছেলে মেয়েদের সাথেই
কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল।
তানিশা আমাকে খুব ভালভাবে বুঝতো।
আমার কখন মন খারাপ থাকে, আর কখন ভাল থাকে
কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল।
তানিশা আমাকে খুব ভালভাবে বুঝতো।
আমার কখন মন খারাপ থাকে, আর কখন ভাল থাকে
তা তানিশা আমার মুখ দেখেই টের পেত।
আমি খারাপ ছাত্র থেকে ভাল ছাত্র হয়ে উঠেছি একমাত্র তানিশার জন্যই।
আমার লেখাপড়ার প্রতি ও এতটাই কেয়ারিং ছিল
যে তা ভাষায় কাউকে বুঝাতে পারবো না।
যে তা ভাষায় কাউকে বুঝাতে পারবো না।
যেই আমি প্রতি পরীক্ষায় অংকে আর ইংলিশে
ফেল মারতাম, সেই আমিই তানিশার কেয়ারিংয়ে থেকে
শুধু অঙ্কে আর ইংলিশে নয় বরং সব সাবজেক্টেই
ক্লাসের সবার চেয়ে বেশি নাম্বার পেতাম। তবে শুধু
তানিশাকে কাটতে পারতাম না। অসাধারন
জিনিয়াস ছিল মেয়েটি।
আমার SSC, HSC তে A+ পাওয়া,
ঢাবিতে মেরিট লিস্টে অবস্থান রাখা,
বিভিন্ন প্রতিযোগীতা সহ নানা প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করে অনেক
অনেক পুরষ্কার জিতে নেওয়া সব সম্ভব হয়েছিল
ক্লাসের সবার চেয়ে বেশি নাম্বার পেতাম। তবে শুধু
তানিশাকে কাটতে পারতাম না। অসাধারন
জিনিয়াস ছিল মেয়েটি।
আমার SSC, HSC তে A+ পাওয়া,
ঢাবিতে মেরিট লিস্টে অবস্থান রাখা,
বিভিন্ন প্রতিযোগীতা সহ নানা প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করে অনেক
অনেক পুরষ্কার জিতে নেওয়া সব সম্ভব হয়েছিল
কেবল তানিশার প্রচেস্টায়। আমার বাবা মাও অবাক
হয়ে গিয়েছিল আমার প্রতিটি রেজাল্টে।
ঢাবিতে চান্সের পর আমরা অনেক খোলামেলা হয়ে গেলাম।
হয়ে গিয়েছিল আমার প্রতিটি রেজাল্টে।
ঢাবিতে চান্সের পর আমরা অনেক খোলামেলা হয়ে গেলাম।
ক্লাস চলাকালিন সময় একসাথেই থাকতাম। ক্লাস শেষে
সারাদিন আড্ডা দেয়া, ঘুরে বেড়ানো সব একসাথেই হতো আমাদের।
ক্যাম্পাসের সবাই জানতো আমরা কাপল।
তানিশা খুব মজা পেত বিষয়টাতে।
আমি তার চেয়ে আরও বেশি মজা পেতাম সাথে খুব আনন্দও লাগতো।
ক্যাম্পাসের সবাই জানতো আমরা কাপল।
তানিশা খুব মজা পেত বিষয়টাতে।
আমি তার চেয়ে আরও বেশি মজা পেতাম সাথে খুব আনন্দও লাগতো।
কারন ততদিনে আমি ভালবেসে ফেলেছিলাম তানিশাকে।
কিন্তু কী এক পিছুটানের কারনে বলতে পারছিলাম না মনের কথাগুলো।
অনেক দিন অনেক রকম প্রস্তুতি নিয়ে প্রপোজ করার
কিন্তু কী এক পিছুটানের কারনে বলতে পারছিলাম না মনের কথাগুলো।
অনেক দিন অনেক রকম প্রস্তুতি নিয়ে প্রপোজ করার
দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে বের হলেও কোনদিন বলতে পারিনি মেয়েটিকে।
আর তানিশাও কেমন যেন, আমার সবকিছু বুঝতে পারলেও
এই কথাটি কেন যে বুঝতো না আমার জানা ছিল না।
আমি বুঝতে পারতাম না, আসলেই কি তানিশা জানেনা
আমি বুঝতে পারতাম না, আসলেই কি তানিশা জানেনা
আমি তাকে ভালবাসি?
নাকি সে জেনেও না জানার ভান করছে?
প্রশ্নগুলো নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করেও
কোন উত্তর পাইনি কোনদিন।
একদিন সাহস করে প্র্যক্টিকাল ক্লাসে তানিশাকে হুট
করেই বলে ফেললাম, "তোকে ভালবাসি।"
আমার এরোকম প্রেম প্রপোজ দেখে সে যেন
আকাশ থেকে পড়লো। এমন ভাবে হাসা শুরু
করলো যেন পৃথিবীর কোন ছেলে কোনদিন
প্র্যাক্টিকাল ক্লাসে কোন মেয়েকে প্রেম প্রস্তাব দেয়নি।
নাকি সে জেনেও না জানার ভান করছে?
প্রশ্নগুলো নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করেও
কোন উত্তর পাইনি কোনদিন।
একদিন সাহস করে প্র্যক্টিকাল ক্লাসে তানিশাকে হুট
করেই বলে ফেললাম, "তোকে ভালবাসি।"
আমার এরোকম প্রেম প্রপোজ দেখে সে যেন
আকাশ থেকে পড়লো। এমন ভাবে হাসা শুরু
করলো যেন পৃথিবীর কোন ছেলে কোনদিন
প্র্যাক্টিকাল ক্লাসে কোন মেয়েকে প্রেম প্রস্তাব দেয়নি।
তার উচ্চ হাসির জন্য সেদিন অবশ্য স্যারের ঝাড়িও জুটেছিল কপালে।
ক্লাস করে বের হলে আমি আবার তানিশাকে বললাম।
ক্লাস করে বের হলে আমি আবার তানিশাকে বললাম।
কিন্তু তানিশা আমার কথা শুনেও না শুনার ভান
করে হাটতে লাগলো। আমি দৌড়ে গিয়ে তার হাত ধরে ফেললাম।
করে হাটতে লাগলো। আমি দৌড়ে গিয়ে তার হাত ধরে ফেললাম।
তানিশা এক ঝটকায় তার হাতটা ছাড়িয়ে নিল আমার হাত থেকে।
আমি অনেকটা বিস্মিত হলাম। কারন এর আগেও
আমি আর তানিশা ক্যাম্পাসে অনেক হাত ধরাধরি করে বেড়িয়েছি।
কিন্তু কোনদিন সে এমন করেনি। যাই হোক,
আমি বিস্মিত গলায় বললাম,
--কি হলো তানিশা, এমন করছিস কেন?
আমি প্রপোজ করেছি, তুই রাজি হলে হ্যা বল আর না হলে না বলে দে।
তানিশা কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো।
তারপর খুব শান্ত আর ধীর গলায় বলল,
--মাহিন, তোর সাথে আমার আর দেখা হবে না। সামনের মাসে আমার বিয়ে।
তাই আজই চলে যাব আমি।
কথাটা বলেই উল্টো পথে হাটা ধরল তানিশা।
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমার মনে হল কেউ যেন আমার মাথায় প্রচন্ড
জোড়ে আঘাত করলো। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম তখন।
স্থির ভাবে সেই জায়গায় দাড়িয়ে থেকে তানিশার চলে যাওয়া দেখছিলাম আমি।
কিছুদুর গিয়ে একবার পিছন ফিরে তাকাল সে।
তারপর আবার হাটা শুরু করলো।
আমার কেন যেন মনে হলো সে কাদছে,
মনে হল যেন নিজের উড়নায় চোখ মুছল তানিশা।
http://valobasharkostergolpo.blogspot.com/
নিজের প্রতি খুব রাগ হচ্ছিল তখন। বন্ধু ছিলাম ভালই তো ছিলাম,
শুধু শুধু মেয়েটিকে কাদালাম আমি, এই ভেবে খুব
আফসোস হচ্ছিল তখন। কিন্তু তানিশার
কান্নাই বলে দিচ্ছিল সেও ভালবাসে আমায়।
এরপর পুরো উধাও হয়ে গেল তানিশা।
একেবারেই কোন খোজ খবর নেই।
ক্যাম্পাসে নেই, ফোনও বন্ধ। কিন্তু এমটা তো হওয়ার কথা ছিল না।
ছোট বেলায় তানিশাকে বারবার বলতাম,
"তোরবিয়েতে দাওয়াত দিবি তো তানিশা,
ছোট বেলায় তানিশাকে বারবার বলতাম,
"তোরবিয়েতে দাওয়াত দিবি তো তানিশা,
নাকি পালিয়েই পগার পার হবি?"
আমার এমন কথা শুনে চিমটি কেটে তানিশা বলতো,
"আমার বিয়ের কথা আমি সবার আগে তোকে জানাবো।
আর তোকে দাওয়াত না দিয়ে আমি থাকতে পারি?"
আর তোকে দাওয়াত না দিয়ে আমি থাকতে পারি?"
আমি বলতাম, "মনে রাখিস ফের কারও
সাথে আবার ভেগে-টেগে যাস না যেন।"
এই বলেই দুজনেই হেসে উঠতাম।
কিন্তু আজ কেন যেন সব উলট পালট লাগছে।
যদি সত্যিই তানিশার বিয়ে হয় তবে কেন সে ফোন বন্ধ রাখবে?
আর আমাকে না বলেই বা তানিশা বাড়ি গেল কিভাবে?
আর আমাকে না বলেই বা তানিশা বাড়ি গেল কিভাবে?
আমাকে বললেও তো পারতো, একসাথে বাড়ি যেতাম।
এতটা পথ কখনো একা যাওয়া আসা করতো না সে।
সবসময় আমি থাকতাম। কিন্তু এবার তার কিছুই হচ্ছে না।
এক মুহুর্তের জন্য নিজের ভালবাসার কথা ভুলে গেলাম আমি।
এক মুহুর্তের জন্য নিজের ভালবাসার কথা ভুলে গেলাম আমি।
মনে হলো তানিশার বিয়ে, অথচ আমি এখনো ইনভাইটেশন কার্ড পাইনি।
তাই পরদিন আমিও বাড়ি চলে এলাম মন খারাপ করে।
তানিশাকে খুব মিস করছিলাম।
তানিশাকে খুব মিস করছিলাম।
দুদিন কথা না বলেই মনে উথাল পাতাল শুরু হয়ে গিয়েছিল আমার্।
তানিশার ফোনও বন্ধ একেবারেই। তাই বাড়ি এলাম,
তানিশার বাবা মাকে আমার ভালবাসার কথা বুঝাবো বলে।
তানিশার ফোনও বন্ধ একেবারেই। তাই বাড়ি এলাম,
তানিশার বাবা মাকে আমার ভালবাসার কথা বুঝাবো বলে।
আমি তানিশাকে বিয়ে করবো এটা জানানোর জন্য।
প্রয়োজনে উনাদের সহ যেই ছেলের সাথে তানিশার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার
প্রয়োজনে উনাদের সহ যেই ছেলের সাথে তানিশার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার
হাতে পায়ে পড়বো আমি তারপরেও কিছুতেই হাতছাড়া হতে দিবো না তানিশাকে।
আমি যে প্রচন্ড রকমের ভালবেসে ফেলেছি তানিশাকে।
তাকে ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না তখন।
যোগাযোগহীন দুদিনই বলে দিচ্ছিল আমার কতটা জুড়ে তানিশা ছিল।
বাসায় এসেই এক মুহুর্ত অপেক্ষা করলাম না। লাগেজ রেখেই
বাসায় এসেই এক মুহুর্ত অপেক্ষা করলাম না। লাগেজ রেখেই
ছুটলাম তানিশাদের বাসায়। তানিশা আর আমাদের বাসায় অতটা দুরুত্ব ছিল না।
পনের মিনিটেই পৌছে গেলাম তাদের বাসায়।
পনের মিনিটেই পৌছে গেলাম তাদের বাসায়।
কিন্তু তাদের বাড়িতে ঢুকে সম্পুর্ন আলাদা একটা পরিবেশ লক্ষ করলাম।
যেই বাড়িতে কিছুদিন পর বাড়ির একমাত্র মেয়ের বিয়ে হতে যাচ্ছে সেই
যেই বাড়িতে কিছুদিন পর বাড়ির একমাত্র মেয়ের বিয়ে হতে যাচ্ছে সেই
বাড়িতে বিয়ের কোন লক্ষনই পেলাম না।
বরং পুরো গম্ভীর একটা পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো বাড়ি জুড়ে।
আমি সোজা তানিশার রুমে ঢুকলাম। দেখি তানিশা সোফায় পা উঠিয়ে বসে
পায়ের আঙ্গুলে আলতা দিচ্ছে। টকটকে লাল রঙ্গের আলতা।
আমাকে এক পলক দেখে মাথা নিচুকরে আবার পায়ে আলতা লাগানোই মন দিল সে।
পায়ের আঙ্গুলে আলতা দিচ্ছে। টকটকে লাল রঙ্গের আলতা।
আমাকে এক পলক দেখে মাথা নিচুকরে আবার পায়ে আলতা লাগানোই মন দিল সে।
তার ভাবসাব এতটাই স্বাভাবিক ছিল যেন সে এতটুকুও চমকায় নি।
আমাকে কিছুই বলল না সে। আমি রুমে ঢুকেই ধপ করে বিছানায় বসে পড়লাম।
তারপর সে মুখ খুলল,
আমাকে কিছুই বলল না সে। আমি রুমে ঢুকেই ধপ করে বিছানায় বসে পড়লাম।
তারপর সে মুখ খুলল,
--কখন এলি?
--এইতো এখনই।
বাসা থেকে সোজা এখানে এসেছি। এখনও খাওয়া পর্যন্ত খাইনি।
--ও।
শুধু "ও" বলেই চুপ করে গেল সে। অথচ আগে হলে,
এখনই না খেয়ে আসার জন্য বকা-টকা দিয়ে ভুত বানিয়ে দিত আমাকে।
আমি হঠাত বিছানা ছেড়ে এগিয়ে গেলাম তানিশার কাছে।
তার দুহাতের বাহু চেপে ধরলাম আমার দুহাত দিয়ে।
আমি কিছু বলার আগেই আবার নিজের হাত দুটো ছাড়িয়ে নিল সে।
তারপর আমাকে রাগি গলায় বলল,
তার দুহাতের বাহু চেপে ধরলাম আমার দুহাত দিয়ে।
আমি কিছু বলার আগেই আবার নিজের হাত দুটো ছাড়িয়ে নিল সে।
তারপর আমাকে রাগি গলায় বলল,
--মাহিন, তুই বাড়ি যা। ২৫ তারিখে আমার বিয়ে সেদিনই আসবি আমাদের বাড়িতে।
তার আগে আর কোনদিন আসবি না এখানে।
--কিন্তু তানি ………
--কোন কিন্তু নয়। সামনে বিয়ে, তোকে দেখলে মানুষ খারাপ মন্তব্য করবে।
তুই যা। প্লিজ।
তুই যা। প্লিজ।
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না।
অপমানিত হয়ে সোজা বেরিয়ে এলাম বাড়ি থেকে।
অপমানিত হয়ে সোজা বেরিয়ে এলাম বাড়ি থেকে।
প্রচন্ড খারাপ লাগছিল। তাই পরদিনই আবার
হোস্টেলে চলে এলাম ঢাকায়।
বারবার তানিশার কথা মনে হচ্ছিল,
কিন্তু জোর করেই ভুলে থাকার চেস্টা করলাম।
বারবার তানিশার কথা মনে হচ্ছিল,
কিন্তু জোর করেই ভুলে থাকার চেস্টা করলাম।
দুদিন কোন খবর নেই। আমিও আর তানিশার
সাথে যোগাযোগের কোন চেস্টা করলাম না।
তৃতীয় দিন হঠাত তানিশার নাম্বার থেকে কল এল।
তৃতীয় দিন হঠাত তানিশার নাম্বার থেকে কল এল।
আমি হন্তদন্ত হয়ে রিসিভ করলাম,
কিন্তু ওপাশ থেকে তানিশার বাবা ভাঙ্গা গলায় বলতে লাগলো,
কিন্তু ওপাশ থেকে তানিশার বাবা ভাঙ্গা গলায় বলতে লাগলো,
--বাবা, মাহিন……
--জ্বী আঙ্কেল। আসসালামু আলাইকুম।
--ওয়ালাইকুম আসসালাম। বাবা তুমি একটু
পিজি হসপিটালে আসতে পারবে?
আমি চমকে গেলাম। বললাম, "কেন আঙ্কেল? কার কী হয়েছে?"
--কেন বাবা, তুমি কিছু জানো না? তানিশা তোমাকে কিছু বলেনি?
--নাতো। তানিশা তো আমাকে কিছু বলেনি।
তারপর আঙ্কেল আমাকে সব খুলে বলল।
কথাগুলো শুনে অনুভুতি শক্তি হারিয়ে ফেললাম আমি।
কী করবো বুঝতে পারছিলাম না।
কী করবো বুঝতে পারছিলাম না।
আরেকবার স্তব্ধতা ভর করল আমার উপর্।
তানিশার ক্যান্সার ধরা পড়েছে বছর খানেক আগে।
ডাক্তার বলেছিল আর মাত্র তিন মাসের মত বাচবে তানিশা।
তারপর, আর এই পৃথিবীতে থাকবে না সে।
আর আজই সেই তিন মাসের শেষ দিন, ২৫ তারিখ।
তানিশার বিয়ের দিন ছিল আজ।
ডাক্তার বলেছিল আর মাত্র তিন মাসের মত বাচবে তানিশা।
তারপর, আর এই পৃথিবীতে থাকবে না সে।
আর আজই সেই তিন মাসের শেষ দিন, ২৫ তারিখ।
তানিশার বিয়ের দিন ছিল আজ।
অল্প সময়েই পৌছে গেলাম পিজি তে।
তানিশা কেবিনে শুয়ে আছে।
আমি সন্তর্পনে কেবিনে ঢুকলাম কোন শব্দ ছাড়াই।
ওপাশে মুখ করে শুয়ে ছিল তানিশা,
ওপাশে মুখ করে শুয়ে ছিল তানিশা,
কিন্তু কি করে যেন আমার উপস্থিতি টের পেয়ে গেল সে।
তাই ওপাশে মুখ রেখেই শান্ত গলায় বলল,
তাই ওপাশে মুখ রেখেই শান্ত গলায় বলল,
--মাহিন……
আমি কোন কথা বলতে পারলাম না।
বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছিল। তানিশা আমার দিকে ফিরে তাকালো।
তার নাকে রক্ত, লাল টকটকে। ঠিক সেদিনের আলতার মত।
তার নাকে রক্ত, লাল টকটকে। ঠিক সেদিনের আলতার মত।
তানিশা আবার বলল,
--আমাকে খুব ভালবাসিস তাই না রে?
আমি মাথা ঝাকিয়ে বললাম, "তুই কেন এমন করলি তানিশা?
আমাকে তো অন্তত জানাতে পারতি। জানালিনা কেন?"
আমাকে তো অন্তত জানাতে পারতি। জানালিনা কেন?"
--তুই কষ্ট পেতি তাই ।
--এখন কি কষ্ট পাচ্ছি না?
--তোর হাতটা একটু ধরতে দিবি?
আমি আমার হাতটা বাড়িয়ে দিলাম।
সে শক্ত করে আমার আঙ্গুলগুলো মুঠো করে ধরল।
আমি খেয়াল করলাম,
আমি খেয়াল করলাম,
তার চোখ লাল হয়ে উঠছে, ক্রমশই জলে ভরে উঠছে চোখ দুটো।
হঠাত মুখ ভর্তি লাল টকটকে রক্ত বমি করলো তানিশা।
তারপর, আমার দিকে তাকিয়ে হাসার চেস্টা করে বলল,
তারপর, আমার দিকে তাকিয়ে হাসার চেস্টা করে বলল,
--আমিও তোকে খুব ভালবাসতাম রে।
তোকে নিয়ে ঘর সাজানোর স্বপ্ন দেখতাম।
কিন্তু কি থেকে যে কি হয়ে গেল?
আমি বুঝতে পারছিলাম, কথা গুলো বলতে খুব কষ্ট হচ্ছিল তানিশার্।
তাই বললাম,
তাই বললাম,
--তানিশা প্লিজ কথা বলিস না। তোর খুব কস্ট হচ্ছে না রে??
--এই যে তোর হাতটা ধরে আছি না? আমার একটুও কষ্ট হচ্ছে না। সত্যিই।
কথাটা বলেই একবার জোড়ে নিশ্বাস নিল তানিশা।
তারপর একদম নিস্তেজ হয়ে গেল সে। কোন কথা বলছিল না।
তারপর একদম নিস্তেজ হয়ে গেল সে। কোন কথা বলছিল না।
ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ হয়ে গেল তার্।
তানিশার নিশ্চয়ই ঘুম পাচ্ছে। ঠোটে লাল রক্ত
লিপিস্টিকের চেয়েও বেশি সুন্দর করে তুলেছে তার মুখটাকে।
কিছুক্ষন পর দেখলাম, নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে তানিশার্।
আমার হাতের আঙ্গুলগুলো যেভাবে শক্ত করে মুঠো করে ধরে ছিল সে, তেমন আর নেই।
ওর হাতটা আমার আঙ্গুলগুলো ছেড়ে দিল।
খেয়াল করলাম, ওর হাতটা আমার হাত থেকে সরে যাওয়ার সময় খুব ঠান্ডা হয়ে গেল।
আমার হাতের আঙ্গুলগুলো যেভাবে শক্ত করে মুঠো করে ধরে ছিল সে, তেমন আর নেই।
ওর হাতটা আমার আঙ্গুলগুলো ছেড়ে দিল।
খেয়াল করলাম, ওর হাতটা আমার হাত থেকে সরে যাওয়ার সময় খুব ঠান্ডা হয়ে গেল।
আমি চিতকার দিতে পারলাম না, কাদতেও পারলাম না।
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তানিশার দিকে। যেন কিছুই হয়নি এখানে।
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তানিশার দিকে। যেন কিছুই হয়নি এখানে।
যেন, কাউকেই ভালবাসতাম না আমি।
যেন কেউই মরেনি।
যেন কোন অনুভুতিই নেই আমার্।
পৃথিবী অন্ধকার হয়ে এল আমার চোখে।
যাকে ভালবাসলাম, যাকে নিয়ে এতটা স্বপ্ন দেখলাম সে আজ
আমার চোখের সামনে আমাকে ছেড়ে, সবাইকে ছেড়ে, এই দুনিয়াকে ছেড়ে চলে গেল।
কোন ভা্বেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না তানিশার মৃত্যুর ব্যপারটা।
এই মাত্র ওর সাথে আমি কথা বল্লাম অথচ এখন ও নাই
কি করে আমি এটা বিশ্বাস করি?
Note: জীবন এক অমূল্য রতন তাই একে মূল্যায়ন করা চাই
http://valobasharkostergolpo.blogspot.com/
পুরো গল্পটি pdf আকারে ডাওনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
(লিঙ্কে ক্লিক করে উপরের ডান পাশ থেকে Skip Ad এ ক্লিক করুন)
আমাদের ফেসবুক পেজ থেকে ঘুড়ে আসতে এখানে ক্লিক করুন
-- MUHIBBULLAH MASRUR
No comments:
Post a Comment