Sunday, January 31, 2016

অবুঝ ভালবাসা

স্কুলে পড়াবস্থায় ফিটফাটভাবে চলতে খুব পছন্দ করতাম। ‍কিন্তু ঝামেলা বাঝতো আমার চুলগুলো
নিয়ে। ঘুম থেকে উঠার পর শজারুর মত খাড়া হয়ে থাকতো চুলগুলো।
আর তানিয়া তা দেখে মুখ টিপে টিপে হাসতো আর বলত
- কিরে? সকালে তোর ঘুম হয়নি?
- হয়েছে তো কেন?
- অয়াশ রুমে গিয়েছিলি?
- হাঁ, কেনো?
- তাহলে তোর চুল খাড়া কেনো?
বলেই হিহিহি করে হাসতো।
তানিয়া আমাকে দেখে হাসছে তাতে আমার রাগ নেই।
কিন্তু অন্য মেয়ে গুলো হাসবে কেন? স্যার বলতো সকাল
বেলা বাথরুম না হলে চুল খাড়া হয়ে থাকে। তাই
বলে সবার ক্ষেত্রে হবে নাকি !!
আমি বহু কষ্টে চুল সাইজ করে পারফিউম
মেখে হাটা ধরতাম। রাস্তায় হাঁটার পথে কত
কি যে ভাবনায় আসতো।
পিটিতে দাঁড়ানোর পর সবার চোখ সামনে থাকলেও আমার
চোখ কাউকে খুঁজত। শেষ লাইনে নারিকেল গাছের
নিচে দাঁড়াত তানিয়া। আড় চোখে তাকাতাম বারবার।
চোখাচোখি হলেই তানিয়া ভেংচি কেটে হাসতো।
আর আমি সে হাসি দেখেই বারবার প্রেমে পড়তাম। একবার
প্রেমে পড়তে গিয়ে ধরা খেয়ে গেলাম হ্যাডস্যারের কাছে
- এই ছেলে এই দিকে এসো
- জ্বি স্যার
- পিটির সময় ডান বাম তাকানো নিষেধ জানো?
- জ্বি স্যার
- অমনোযোগী ছিলে কেন?
আমি চুপ চাপ দাঁড়িয়েছিলাম। স্যার দাড়িয়ে খান্ত হন নি। হাতে থাকা বেতের কয়েক চাপড় বসিয়ে দিয়েছিলেন
গায়ে। আমি তবুও আড় চোখে খুঁজছিলাম তানিয়াকে।
হাসতে থাকা মেয়েটার চেহারা কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিলো
- তুই পিটিতে দাড়িয়ে এসব পাগলামো করিস কেন?
- কি করেছি আমি?
- আমার সাথে ঢং দেখাবি না। আমার অসজ্জ লাগে
তানিয়ার হাসির চেয়েও তার রাগ সুন্দর। রাগলে তার
লম্বা নাক লাল হয়ে যায়। নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু
ঘাম জমে। আমি দুষ্টুমির ছলে পকেটে গুজে রাখা রুমাল
তানিয়ার দিকে বাড়িয়ে দিলেই ফিক করে হেসে দিতো ও।
- কোথায় লেগেছে দেখি?
বলেই শার্টে আশপাশ দেখতো ।
- ব্যাথা পেয়েছিস খুব?
- হুমমম
- এখনো আছে?
- একটু
- আবার পাগলামো করলে দেখিস তুই
তানিয়ার কথায় আমি হাসতাম শুধু। আমার হাসি দেখে তানিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাকাত।.
তানিয়া জানে এই কাজ আমি রোজ করবো।
- এমন করিস কেন?
- জানি না
আমার কথায় তানিয়া চুপ করে তাকিয়ে থাকতো.আর আমি হাসার ভান ধরে পরিস্থিতি সাম্লে নিতাম।

এর চেয়ে বেশি কিছু করার ছিলো না আমার কিংবা আমাদের।
 সেই ভোর ছয়টায় বেড়িয়ে পড়তাম কোচিং এ। 
শীতকাল এলেই বাহিরে কুয়াশা, হাড়
কাপানো শীতে গায়ে চাদর থাকতো। ক্লাস শুরু
হতো ৭টায়। কিন্তু আমার মাথায় চিন্তা থাকত আগে আমাকেই যেতে হবে। তা না হয় তানিয়ার পাশের সিট
টা আমি পাব না। মাঝে মাঝে আমি যাওয়ার আগেই দেখতাম তানিয়া দাড়িয়ে রয়েছে গেইটে। 

তানিয়ার দেওয়া বেলি ফুল গুলো গুজে রাখতাম পকেটে।
মাঝে মাঝে ক্লাসের ফাঁকে পকেট থেকে আলতো ভাবে বের করে উকি মেরে দেখতাম।

 আমার কান্ড দেখে হাসতো তানিয়া। আর আমি আমার
সেকালে করা পাগলামোগুলো ভেবে এখনো হাসি।
একবার স্কুল ছুটির পর ঝুম বৃষ্টি। আমার পাগলামো গুলো তানিয়ার মাথায় ভর করলো।
- আমি আইসক্রিম খাবো
- এই বৃষ্টিতে?
তানিয়া এক গাল হেসে হাটা ধরলো। পিছু পিছু ছুটলাম আমি।
- তানিয়া, ছাতি মাথায় ধর। তুই অসুস্থ
তানিয়া বাড়িয়ে দেওয়া ছাতি ছুড়ে ফেললো। আমারা দুজন বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গেছি।
দোকান থেকে আইসক্রিম নিয়ে খেতে খেতে হাঁটছি। বৃষ্টি তখনো পরছে।

রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা মানুষগুলো বৃষ্টির দিনে দুই পাগলের আইসক্রিম খাওয়া দেখে হাসছিল ।
সেইবার বাড়ি ফিরেছিলাম সন্ধায়। ফিরার আগে তানিয়াকে দেওয়া কদম ফুল বহুবার
দেখেছি আমি তার ডায়রিতে।কখনো কারণ জিজ্ঞেস করা হয়নি।
স্কুলে বিদায়ের দিন মনে হচ্ছিল কিছু একটা যেন হারিয়ে ফেলছি।

তানিয়াকে বলার ছিলো অনেক কিছু। বলা হয়নি।
শুধু তার পাশে বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদা দেখছিলাম।
আমার পকেটে গুজে রাখা সাদা রুমাল বাড়িয়ে দিয়েছিলাম
তানিয়ার হাতে। তানিয়ার চোখের পানি আর চোখের কাজল
মিলে মিশে একাকার।

 আমার বাড়িয়ে দেওয়া রুমালে তানিয়ার লেপ্টে থাকা কাজল
আর পানি দাগ কেটে গেছে। রুমালে তানিয়ার চোখের
পানি মুছে গিয়েছিল বহু আগে। লেপ্টে থাকা কাজল
ইতিহাস হয়ে রয়ে গেছে। আমি এখনো সে ইতিহাস
পকেটে নিয়ে ঘুরি।
তানিয়ার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো বহু বছর আগে। হুট করেই
নিউ মার্কেটের সামনে দেখা। আমি তাকিয়ে আছি দেখে ভুরু
কুচকে তাকালো 
তানিয়া। নাকের ডগায় চশমা ঝুলছে তার।
চোখে দুষ্ট দুষ্ট ভাব ভেসে বেড়ানো মেয়েটি চশমা পরে আড়াল
করে দিয়েছে সব কিছু। চেহারায় সিরিয়াস ভাব এসে পড়েছে।


এইতো সেদিন বেশ অনেক বছর পর তানিয়ার সাথে দেখা। দেখি রিকশায় করে কোথাও যাচ্ছে।
আমাকে দেখেই থমকে দাড়ায় সাথে বুঝি কিছুটা চমকেও যায়।
বেশ কিছুক্ষন  একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে রিকশায় উঠতে বলতেই উঠে পড়লাম।
তানিয়া সাইড কেটে বসল। ওটুকুতেই আমার বুঝা হয়ে গেল আমাদের দূরুত্ব তৈরী হয়ে গেছে এত দিনে
- তুই আগে থেকে অনেক শুখিয়ে গিয়েছিস
- বহু দিন ধরেই এমন
- আগে তো এমন ছিলি না
- সময় বদলেছে
- ও
- তুইও বদলে গেছিস অনেক
- কিরকম?
- নাকের ডগায় চশমা ঝুলছে।
- হুম
আমাদের মাঝে কিছুক্ষণ নিরবতা।

আকাশ কালো হয়ে আসছে। বৃষ্টি নামতে পারে।
- তানিয়া!
- হুম
- আইসক্রিম খাবি? বৃষ্টি নামবে
তানিয়া আমার দিকে তাকালো। আমি অন্যদিকে তাকিয়ে
- না, আমি অসুস্থ। সর্দি বাঁধালে আবির রাগ করবে
- আবির কে?
- আমার হাজবেন্ড
তানিয়ার কথা শুনে চুপ করে ছিলাম।

তানিয়া বলল
-  স্কুল থেকে বিদায় নেওয়ার পর আজ দেখা হল আমাদের
- হুম
- খোঁজ নেস নি আমার
- ভেবেছিলাম তুই হয়তো....
- আমি অপেক্ষায় ছিলাম সাকিব
কান্না থামানোর চেষ্টা করে বলল 
তানিয়া ।
আমি মাথা নিচু করে শুনছি
- সাকিব!
- হুম
- তুই নাম, আমাকে যেতে হবে
- হু
- একটা কথা রাখবি?
- বল
- এর পর কখনো আমার সামনে আসিস না
তানিয়ার কথা শুনে চুপ হয়ে ছিলাম। শুধু বল্লাম
- একটা কথা ছিলো
- বল
- এত বছর পর তোর চশমার
ফ্রেমে লুকিয়ে রাখা চোখে আমার
প্রতি ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে। এটার অপেক্ষাতেই
ছিলাম আমি
- তুই নাম সাকিব
রিকশা থেকে নেমে দাড়িয়ে আছি। তানিয়া রিকশায়
বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে।
অনেক কিছু বলার ছিলো সেই দিনটির মত, বলা হয়নি। কিছু
কথা না বলাই থেকে যায়। দীর্ঘশ্বাস বাড়তে থাকে।

ঝুম বৃষ্টি নেমেছে। আমি পকেটে গুজে রাখা রুমাল শক্ত

করে ধরলাম। ওটা ভিজতে দেওয়া যাবে না।
তানিয়ার চোখের কাজল স্মৃতি হয়ে আছে ওতে। আচ্ছা, সেই
দিনের দেওয়া কদম ফুল তানিয়া কি এখনো রেখেছে? খুব
জানতে ইচ্ছে করছে আজ ...............


Note: ভালবাসা প্রকাশে কখনো দেরি করতে নাই
          তা না হয় সারাজীবন কাঁদতে হবে। 

পুরো গল্পটি pdf আকারে ডাওনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
      (লিঙ্কে ক্লিক করে উপরের ডান পাশ থেকে Skip Ad এ ক্লিক করুন)

ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন




Post Comment

Saturday, January 30, 2016

স্মৃতির পাতা

আবিরের আত্মহত্যার কথা শোনার
সাথে সাথে ছুটে গিয়েছিলাম রেল লাইনে।
আবিরের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন লাশের
দিকে দ্বিতীয় বার তাকাতে পারিনি। রেল
লাইনে কাটা পরা আবিরের লাশের পার্শ্বেই
পরে থাকা ডায়রিটা সবার
অগোচরেই আমি হাতে তুলে নিয়েছিলাম।
ডায়েরিটায় কোন ক্ষত চিহ্ন লাগেনি।
আবিরের আত্মহত্যার  কারণ সবার
কাছে অজানা রয়ে গেলেও আমার বুঝতে আর বাকী রইলনা আবির কেন আত্মহত্যা করল। আবিরের মৃত্যুর
অনেক দিন অতিবাহীত হলেও ডায়রিটা অনেক
বার খুলতে চেয়েও সাহস পাইনি। আজ আর
নিজেকে সামলাতে পারলাম না।
ডায়রিটা হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলাম।
আবির লিখেছে,প্রিয় নীলা, তোমার
কি মনে আছে আমাদের ভালোবাসার পথ
চলা কীভাবে শুরু হয়েছিল?
জানি ভুলতে পারনি। আমিও না। এই
তো সেই দিন। কমলাপুর রেলষ্টেশনে তোমার
সাথে পরিচয়। অনেক বার চাওয়ার পর
তোমার মোবাইল নম্বর টা দিয়েছিলে।
মাঝে মাঝে কুশল বিনিময় ছাড়া তেমন কোন
কথা হতো না। তুমি কিন্তু আমার আবৃত্তির
খুব ভক্ত ছিলে।
তোমাকে আবৃত্তি শোনাতে শোনাতে কত সকাল
যে সন্ধে হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। এর
পর আপনি থেকে তুমি। আর এভাবেই কখন
যে বন্ধুত্বের সাকো পার হয়ে ভালোবাসার
রাজ্যে পা দিয়েছি বুঝতেই পারিনি। তোমার
মনে আছে? একটা দিন তোমার
সাথে দেখা না করলে তুমি বড্ড মন খারাপ
করতে। তোমার সাথে দেখা করতে ক্লাশ
ফাঁকি দিতে কতই না মিথ্যে অজুহাত দাড়
করাতে হয়েছে। এইতো সে দিন,
রাস্তার ফুতপাত ধরে হাটছিলাম
দুজন। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো।
আমি একটা ছাদের নিচে আশ্রয়
নিতে চাইছিলাম কিন্তু তুমি আমার হাত
জড়িয়ে ধরে খোলা আকাশের
নিচে দাড়িয়ে রইলে। বৃষ্টি আমাদের
ভিজিয়ে দিয়ে গেল আপন খেয়ালে। অপরুপ
মুগ্ধতায় বৃষ্টি ভেজা তোমাকে আমি নতুন
করে আবিস্কার করলাম। নদী পাড়ের
সাড়ি সাড়ি গাছের নিচে বসে কত বার
সূর্যকে বিদায় জানিয়েছি তার কোন হিসেব
নেই।
আমার জন্য নাকি তোমার অনেক টেনশন
হয়। আমি খেয়েছি কি না, ফোন
দিয়ে জিজ্ঞেস না করে তুমি কোন দিনই
মুখে খাবার তুলতে না। বার বার
তোমাকে আমি একটা কথা বলতাম,
নীলা তুমি আমাকে যতটা ভালোবাসো আমি হয়ত
তোমার ভালোবাসার
কাছে হেরে যাচ্ছি। যদি আমার দুই একদিনের জন্য ঢাকার বাহিরে অন্য
কোথাও যেতে হত তোমার চোখ দুটি ছল ছল
করে উঠতো। তোমার মলিন মুখের
দিকে আমি তাকাতেই পারতাম না।
কত স্বপ্নই না ছিল আমাদের। বিয়ে হবে,
ছোট্ট একটা ঘর হবে আমাদের।
আমি বলেছিলাম আমাদের প্রথম সন্তান
হবে মেয়ে আর তুমি বললে ছেলে। এ
নিয়ে তো তোমার সাথে রীতিমত যুদ্ধই
বেধে গিয়েছিল। জানি, আজ তোমার
বিয়ে হয়েছে, ঘর- সংসারও হয়েছে।
এতো দিনে হয়তো তোমার
স্বপ্নগুলো ধরা দিতে শুরু করেছে। শুধূ
যেখানে আমার থাকার কথা ছিল সেখানে আজ
অন্য কেউ।
যে তুমি একদিন
আমাকে না দেখে থাকতে পারতে না, এক
ঘন্টা মোবাইলে কথা না হলে অস্থির
হয়ে যেতে সেই তুমি কেমন
করে আমাকে ভুলে গেলে ? মানুষ
মরে গেলে নাকি তারা হয়ে আকাশে থেকে যায়।
কিন্তু তুমি আমার সীমানা ছেড়ে তার থেকেও
বেশি দূরে চলে গেছো।
কবুল নামক একটা মন্ত্র
পরে তুমি আমাকে এভাবে বিসর্জন দিয়ে অন্য
কউকে জীবন সঙ্গী করবে এটা আমি কোন
দিন ভাবতে পারিনি। কী ভুল ছিল আমার
বলো ? কেন এভাবে আমাকে নিস্ব
করে দিয়ে চলে গেলে? ?  কত দিন হয় তোমার চির
চেনা কণ্ঠস্বর শুনতে পাইনা। খাবার
সামনে নিয়ে বসে থাকি তোমার ফোনের
আশায়। মনে হয় এই বুঝি তুমি ফোন
দিয়ে শাষনের স্বরে বলবে, ’’আবির
তুমি এখনও খেতে বসনি? এখনও
খাওনি কেন?” বিন্তু তোমার ফোন
আসে না।
ট্রেনের হুইসেল শুনে কতবার
ষ্টেশনে ছুটে গিয়েছি, যদি তুমি আসো ?
ট্রেনের হুইসেল আমার হৃদয়ের হাহাকার
কে চাপা দিয়ে চলে গেছে আপন ঠিকানায়।
তুমি আসোনি। এখনো তোমার প্রতিক্ষায়
ষ্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়।
আমাদের জীবন টা আজ ট্রেনের লাইনের মতই
সত্যি। ট্রেন লাইন পাশাপাশি থাকলেও
কখনও এক বিন্দুতে এসে মিশে না। অনেক
দিন তোমার হাত ধরে রেল
লাইনে পাশাপাশি হাটা হয় না। আজ
একবার আসবে? সেই পুরোনো ঠিকানায়।
গোধুলীর আবছা আলোয় তোমার হাত
ধরে শ্লিপারের ওপর দিয়ে হেটে যাবো আর
তোমাকে আবৃত্তি শোনাবো।
তোমাকে কিন্তু আজ আসতেই হবে।
আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো।
আসবে কিন্তু। (১৯ এপ্রিল, সন্ধা ৫ টা ১৯
মিনিট)
আবিরের ডায়রির
লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমার চোখ
বেয়ে কফোটা জল গড়িয়ে পড়েছে ডায়রির
পাতায়। এই লেখাগুলোর তারিখের
সাথে আবিরের মৃত্যুর তারিখ
মিলিয়ে দেখলাম। আবির এই
লেখাগুলো আত্মহত্যার
আগমূহুর্তে লিখেছিল।

Note: ভালবেসে এতটা কষ্ট পেতে হয় কেন?
           তাহলে মানুষ ভালবাসে কেন??
          একবার কারও হাত ধরে তার হাত কখনও ছেড়ে দিবেন না।
           কারন এতে আপনার কিছু না হলেও ঐ মানুষটার কিন্তু বুকটা ফেটে যায়


পুরো গল্পটি pdf আকারে ডাওনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
     (লিঙ্কে ক্লিক করে উপরের ডান পাশ থেকে Skip Ad এ ক্লিক করুন)

ভাল লাগলে আামর ফেসবুক আইডি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন


Post Comment

বিরহ আমায় পিছু টানে

২০০৭ এর জানুয়ারী এর দিকে। একটি মেয়ে একটি ছেলেকে খুব ভালোবাসে। ছেলেটার নামে ছিল সাকিব। আর মেয়েটার নাম মুন্নি। মুন্নি যখন ক্লাস ৬ এ পড়ে তখনই সাকিবের সাথে তার প্রথম পরিচয়। কিন্তু তখনও মুন্নি সাকিবের নাম জানত না।সাকিবকে মুন্নি প্রথম দেখে ২০০৭ র জানুয়ারীর দিকে। স্কুল এ তখন Sports চলছিল। Sports এর মাঝে যখন সে সকিব কে প্রথম দেখে তখনই ওর খুব ভালো লেগে যায়। এমনকি একদিন যদি সাকিবকে স্কুলএ যাওয়া আসার মাঝে না দেখতো তার অনেক খারাপ লাগতো। কিন্তু কখনোও সাকিব কে বলার সাহস হয় নাই। সব চেয়ে মজার বিষয় ছিল মুন্নি প্রথমে মাকিবের নাম জানতো না। এবং মুন্নি ভাবতো সাকিবও বুঝি ক্লাস ৬ এ পড়ে কিন্তু এটা ভুল ছিলো। সাকিব ছিলো তখন ক্লাস ৭ এ। আর এটা মুন্নি বুঝতে পারে যখন সে সাকিব কে Test এর Results নিতে দেখে। এতে একটু মন খারাপ হলেও সে নিজেকে মানিয়ে নেয়। মুন্নি তখন অনেক try করে সাকিবের সাথে কথা বলতে কিন্তু পারে না। একটা সময় সে ‍S.S.C এর EXAM দিয়ে চলে গেল স্কুল থেকে। রেজাল্ট এর আগে কোন একদিন সাকিবকে সে দেখেছিল রোডে । কিন্তু কথা বলতে পারে নাই। সাকিব এর Result দিলো। সে জিপিএ ৫ পেলো S.S.C তে। মুন্নি অনেক খুসি হয় Result শুনে। সাকিব তখন এডমিসন নেয় Collage এ। কিন্তু মুন্নি আর কথা বলতে পারে নাই। এর পর একে একে ২০০৮,২০০৯,২০১০ চলে যায় । ২০১১ এর জুন মাসে মুন্নি সাকিব কে দেখে মুন্নিদের বাসার পাশে । তখন মুন্নি অনেক সাহস নিয়ে সাকিব এর সাথে কথা বলতে পারে। সেই দিন ফোন নাম্বার পায় ।তারপর মুন্নি সাকিব এর সাথে ফোন এ কথা বলতো। এবং বুঝাতে চাইতো যে সে তাকে লাভ করে। এবং সাকিবও বুজতে পারে। তখন সকিব মুন্নি কে বলে যে তার GIRLFRIEND আছে। তখন মুন্নি অনেক ভেঙ্গে যায় এবং অনেক কষ্ট পায়। এবং অনেক কান্না কাটি করে। কিন্তু নিজেকে সে শক্ত করে। মুন্নি ভাবে সাকিব হয়তো মিথ্যা বলছে। কিন্তু একদিন সাকিব তার GIRLFRIEND এর সাথে কথা বলিয়ে দেয় মুন্নিকে । তখন মুন্নি বিশ্বাস করে যে সাকিব এর GIRLFRIEND আছে। কিন্তু সে বুঝতে পারছিল না কি করবে। পরে সে সাকিবকে একদিন বললো। তখন সাকিব বলল দেখো ঠিক আছে তুমি আমাকে লাভ করো এতো দিন থেকে কিন্তু এখন তো আমার পক্ষে কিছু করা পসিবল না। কারণ আমি অন্য আর এক জন এর সাথে রিলেশনে । মুন্নি বলে আমি জানি তুমি রিলেশনে। আর আমি চাইও না তুমি তাকে ছেড়ে আমার কাছে আসো। তুমি কি আমাকে তোমার ভালো বন্ধু হিসাবে রাখতে পারবা না ?? তখন সাকিব বলে ঠিক আছে আমি রাখবো আজ থেকে আমরা বেষ্ট ফ্রেন্ড। এই করে করে ২০১২ ও চলে যায় । সাকিব একটা কারণে সে বছর H.S.C পরীক্ষা দিতে পারে না। তার GIRLFRIEND সেই বার H.S.C দিয়ে দেয়। সাকিব ২০১৩ এ H.S.C দেয়। এর মাঝে ২০১৩ এ মুন্নিও H.S.C দিয়ে দেয়। এবং মুন্নিও জিপিএ ৫ পায়। সাকিব মুন্নিকে অনেক support করতো পড়ালেখা তে। ২০১৪ এর শুরুর দিকে। শুরু হয় তাদের friendship এর মাঝে ঝামেলা। সাকিব এর GIRLFRIEND সাকিব এর সাথে মুন্নির ব্যাপার নিয়ে ঝঘরা করতো। সে ভাবতো মুন্নি বুঝি সাকিব কে নিয়ে যাবে তার কাছ থেকে। কিন্তু মুন্নির মাঝে সে চিন্তা কখনো ছিলো না। মুন্নি সেটা সাকিব এর GIRLFRIEND কেও বলেছে। কিন্তু সে বিশ্বাস করে না। ফলে ওদের মাঝে মুন্নির কারণে ঝগরা হতো। তাই মুন্নি বলে, থাক সাকিব বাদ দাও আমাদের ফ্রেন্ডশিপ রাখারও কোন দরকার নাই। Then ওদের ফ্রেন্ডশিপও শেষ হয়ে যায় ২০১৪ এর মাঝামাঝিতে(september)। মুন্নি পুরা পাগলের মতো হয়ে গেছে।এর পর মুন্নি সাকিব এর GIRLFRIEND র সাথে কথা বলতে চেষ্টা করে ওকে বুঝানোর জন্নে। সাকিব এর GIRLFRIEND তার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে । কিন্তু মুন্নি বলতো আপু প্লিজ আপনি বড় বোন হিসেবে তো কথা বলতে পারেন। কিন্তু একটা সময় সেও মুন্নি সাথে কথা কথা বলা বন্দ্ব করে দেয়।এ ফলে মুন্নি অনেক ভেঙ্গে যায়। মুন্নি আজও সাকিবকে লাভ করে।কারণ মুন্নি সাকিবকে সতিকারের ভালবেসেছিল। মুন্নি কিছুতেই সাকিবকে ভুলতে পারছে না। মুন্নি বুঝতেও পারছে না সে কি করবে এখন। সে জানে কোন লাভ নাই সাকিবকে মনে রেখে…………কিন্তু মুন্নি পারছে না …………………মাঝে মাঝে ওর মন চায় এই দুনিয়া থেকে চলে যেতে কিন্তু ও তা পারে না ওর বাবা-মা আর ভাই-বোনদের দিকে তাকিয়ে।

Note: কাউকে ভালবাসলে তা প্রকাশের ক্ষেত্রে কখনও বিলম্ব করতে নেই।

পুরো গল্পটি pdf আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
          (লিঙ্কে ক্লিক করে উপরের ডান পাশ থেকে Skip Ad এ ক্লিক করুন)

ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুড়ে আসতে পারেন



Post Comment

Friday, January 29, 2016

পাগল প্রেমিক


একটি ছেলে একটি মেয়েকে পাগলের মত ভালবাসে... ভালোই চলছিল তাদের দিন কাল...
কিছু দিন পর ছেলেটা খেয়াল করল মেয়েটা কেমন যেন হয়ে গেছে তাকে আর আগের মত ভালবাসে না...
কিছুটা avoid করে চলে....... হঠাৎ একদিন মেয়েটা ছেলেটার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো...
এতে ছেলেটা পাগলের মতো হয়ে গেল। পরে একসময় জানতে পারলো মেয়েটার নতুন একটা বয়ফ্রেন্ড হয়েছে...
ছেলেটা এই বিষয় নিয়ে মেয়েটিকে প্রশ্ন করতেই সে বলে অতীত ভুলে যাও..........
ছেলেটা খুবই কষ্ট পেল ফলে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে এলো ..........
সে কিছুতেই মেয়েটিকে ভুলতে পারলো না.........
এই ঘটনার ৭মাস পর..............................
ছেলেটার কাছে মেয়েটার মৃত্যু সংবাদ এলো। কিন্তু ছেলেটা কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারল না তাই সে খুঁজ নিয়ে জানতে পারল মেয়েটা মারা যাবার আগে ছেলেটার জন্য একটা চিঠি রেখে গিয়েছিল......
মেয়েটার এক বান্দ্ববী এসে ছেলেটাকে চিঠিটা দিয়ে গেলো...
মেয়েটা খুলে পড়তে আড়ম্ব করল.......
তাতে লেখা ছিল...................................
বিধাতার করুন পরিহাসে আমরা এক হতে পারলাম না
যেদিন আমি জানলাম আমি আর ৬ মাস বাঁচব সেদিন থেকে বুকে পাথর চেপে তোমার সাথে অভিনয় করতে শুরু করলাম...........কারণ আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই নি। ভেবেছিলাম তুমি আমাকে ভুল বুঝে দূরে সরে যাবে..................
তাই সব সময় তোমার থেকে দূরে দূরে থেকেছি........................
।যখন তুমি এটা পড়বে আমি তোমার থেকে অনেক দূরে থাকবো........যেখান থেকে আমি আর কখনোই ফিরে আসতে পারবো না আমার কারনে তোমার চোখে আমি অশ্রু দেখতে চাইনি.........
তাই তোমার সাথে এমনটা করেছি.......... ক্ষমা করে দিয়ো...........
চিঠি টা পরে ছেলেটার চোখের জলে চিঠি টা ভিজে গেলো......

ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুরে আসতে পারেন
     (লিঙ্কে ক্লিক করে উপরের ডান পাশ থেকে Skip Ad এ ক্লিক করুন)


Post Comment

মুন্নির ভালবাসা

কিছু কিছু কষ্ট আছে যা কখনো ভুলা যায় না, কষ্ট শুধু মানুষকে যন্ত্রণার আগুনেই পুড়িয়ে মারে, এইতো সেদিন ‘মুন্নির’ সাথে আমার পরিচয় হল, কিভাবে যে ৬ টি বছর কেটে গেল টেরই পেলাম না, ওর সাথে আমার প্রথম দেখা হয় কলেজে,আমি যখন ইন্টার ২য় ইয়ার এ পড়ি তখন আমাদের কলেজে ফাস্ট ইয়ার এ ভর্তি হয় মুন্নি,লাইব্রেরীর সামনে আম গাছের নিচে দাড়িয়ে ওর দুইটা বান্ধুবির সাথে কথা বলছিল আর হাসছিল, কি সুন্দর ওর মুখের হাসি, হাসলে গালে টোল পরে যায়,প্রথম দেখায়ই প্রেমে পড়ে গেলাম। আজও ভুলতে পারি না সেই অনুভুতির কথা, সেই প্রথম দেখা থেকেই কেন জানি আমি ওর প্রতি দুরবল হয়ে যাই, সারাক্ষণ ভাবি ওর কথা, প্রতিদিন তাকিয়ে থাকি ওর দিকে আর ও আমার দিকে তাকিয়ে মুসকি হাসত মাঝে মাঝে, কতো কথা বলতে চাইতাম ওকে কিন্তুু কিছুই বলতে পারতাম না কারন তখনও আমাদের পরিচয় হয়নি, আমার সপ্নের রাজ্যে তো ও বাসা বেধে ফেলেছে অনেক আগেই কিন্তু আমি তো ওকে কিছুই বলতে পারছি না,শুধু চেয়ে থাকি সারাক্ষণ,কি যে করবো কিছুই বুজতে পারছিলাম না,আমার মন তো অস্তির ওর সাথে কথা বলার জন্য কিন্তু কোন উপায়ই খুজে পাচ্ছিলাম না,হঠাৎ এক দিন কলেজে গিয়ে দেখি আমার ফুফাতো বোন কলির সাথে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কথা বলছে মুন্নি, কলি যে এই কলেজে ভর্তি হয়েছে তা তো আমি ভুলেই গিয়েছিলাম, আজ কলির সাথে মুন্নিকে দেখে আমার মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। আনন্দে দিশেহারা হয়ে গেলাম,আমার সাহস অনেকটা বেড়ে গেল কাছে গিয়ে বললাম কিরে কলি কেমন আছিস? কলি বললো- ভাল আছি ভাইয়া, তুমি কেমন আছ? ততক্ষণে আমি মুন্নির দিকে তাকিয়ে থেকে বললাম ভাল আছি, কেন যেন মুন্নি আমার দিকে এক পলকে তাকিয়েছিল। ওর হরিনের মত চোখ দুটি আজ ও আমার কল্পনায় ভেসে বেড়েয়, ভুলতে পারি না আমি ওর চোখের দৃষ্টি। তারপর ক্লাস শুরু হয়ে গেল ওরা ক্লাস এ চলে গেল,আমি কিছুক্ষণ দারিয়ে থেকে ক্লাস এ চলে গেলাম কিন্তু কিছুতেই ক্লাসে মন বসাতে পারলাম না,বার বার ওকে দেখতে ইচ্ছে করছিল,কিন্তু উপায় কি,ও যে ক্লাস করছে, তারপরও ওর ক্লাসের পিছনের জানালা দিয়ে দূর থেকে ওকে দেখতে লাগলাম, যত দেখি তত ভাল লাগে এই ভাললাগা যে শেষ হবার তা আমি খুব ভালই বুঝতে পারছিলাম। এত সুন্দর মানুষ হতে পারে তা আগে কখনো ভাবিনি, মনে হয় বিধাতা নিজ হাতে ওকে তৈরি করেছে (শুধু আমার জন্য)। সেই দেখা থেকে ওর প্রতি আমার ভালবাসা যেন আরও বেড়ে গেল, মনে ভালবাসা এলে কেমন লাগে তা এই প্রথম বুঝতে পারলাম পৃথিবীটাই যেন রঙ্গিন মনে হচ্ছে, আর নিজেকে মনে হচ্ছে উরু উরু চাঞ্চল্য প্রজাপতির মত, এর মধ্যে কয়েক দিন চলে গেল কিন্তু কিছুতেই আমার মনের কথা ওকে জনাতে পারলাম না, ওর কথা ভেবে রাতে ঘুমাতেও পারিনা, আমার কল্পনায় বার বার ভেসে বেড়ায় ওর সেই চাঁদ মুখক্ষানি,অনেক চেষ্টা করেও বলতে পারিনি আমার মনের কথা, বলবো বলবো করেও বলতে পারছিনা। সামনে গেলেই যেন সবকিছু ভুলে যাই, হঠাৎ মাথায় চিন্তা এল যে কলিকে দিয়েইতো মুন্নিকে আমার ভালবাসার কথা জানাতে পারি, কলি দেখলাম দুইদিন কলেজে আসছে না, তার পরের দিন শুক্রবার তাই আমি কলিদের বাড়ি গেলাম, গিয়ে দেখি বাড়ির সামনেই ও দাড়িয়ে আছে, কলি আমাকে দেখেই বললো ভাইয়া কেমন আছ? আমি বললাম ভাল, তুই কেমন আছিস? ও বললো অনেক ভাল আছি, আমি বললাম বাব্বা অনেক ভাল! এত ভাল থাকার কারন কি? ও বললো কারন আছে কিন্তু এখন বলবো না, আমি বললাম বলতে হবে না আমি তোর কাছে একটা কাজে এসেছি আমার কাজটা করেদেনা প্লিজ, ও বললো তাইতো বলি তুমি তো কখনো আসনা আজ কি মনে করে? বলে ফেল, আর হাঁ আম্মুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে দিতে হবে কিন্তু, আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু আগে প্রমিজ কর কাজটা করে দিবি,ও বললো আগে বলো, দেখি পারব কিনা আমি বললাম তুই ই পারবি,ও বললো এত না ঘুরিয়ে বলোতো আমাকে কি করতে হবে। আমি বললাম আচ্ছা তোর সাথে যে ওই দিন লাল ড্রেস পরা একটা মেয়ে দাড়িয়ে ছিল ওর নাম কিরে? ও বললো কেন?আমি বললাম না এমনিতেই, বলনা ওর নাম কি?ও বললো ওটা আমার বান্ধুবি ওর নাম মুন্নি, আমি বললাম অনেক সুন্দর তো নামটা, দেখতে যেমন সুন্দর নামটাও কিন্তু তেমনি সুন্দর, কলি বললো কি? ও কি আমার চেয়েও সুন্দর? এই বলে কলি একটু রাগ করলো, আমি বললাম আরে না বোকা তুইতো অনেক সুন্দর, ও কি তোরচেয়ে সুন্দর হতে পারে?, এই কথা বলতেই কলি হেসে দিল, বললাম কলি আমি মুন্নিকে........, শেষ করতে পারলাম না এতটুকু বলতেই কলি বুঝে ফেলেছে বললো ও আচ্ছা!! তাই বলো এতক্ষনে বুঝলাম কেন তুমি ওর এত প্রশংসা করতেছ, কলি বললো আমি পারবোনা তোমাকে এ বেপার সাহায্য করতে, আমি কলির হাত ধরে বললাম প্লিজ লক্ষ্মী বোন আমার, আমাকে একটু হেল্প করনা, আমার হয়ে তুই মুন্নিকে বলনা যে আমি ওকে ভালবাসি, কলি আমাকে বললো কবে থেকে এত ভালবাসা হা......., তলে তলে এত দূর......? আমি বললাম যেদিন প্রথম কলেজে ওকে দেখেছি সেদিন থেকেই ওকে আমার প্রচণ্ড ভাল লাগে, আমি ওকে অনেক ভালবেসে ফেলেছি, অনেক বার বলার চেষ্টাও করেছি কিন্তু বলতে পারিনি, তুই একটু বলে দে না ওকে, অনেক বলে কলিকে রাজি করালাম, কিন্তু সে আমাকে বললো একটা চিঠি লিখেদিতে, আমি জিবনে কখনো চিঠি লিখিনি। কিসের থেকে কি লিখে ফেলেছি জানিনা।আমি লিখেছিলাম................
*মুন্নি*
কয়েক দিন কলেজে তোমাকে দেখছি না, জানিনা তুমি কেমন আছ, হয়তো তুমি আমাকে চেননা। তুমি যে কলেজে পড় আমি সেই একই কলেজে পড়ি, তোমার বান্ধুবি কলির কাছে আমি তোমার নামটা যেনেছি, অনেক সুন্দর তোমার নামটা তারচেও সুন্দর তুমি, তোমাকে যেদিন প্রথম কলেজে দেখি সেই দিন থেকেই আমার ভিতরে সুন্দর একটা অনুভুতির জন্ম হয়ছে, যা আমাকে বার বার দুর্বল করে দিচ্ছে এটা অন্যরকম একটা ভাললাগা,কাউকে ভাললাগা কি অন্যায় কিনা তা জানিনা, তবে তোমাকে আমার ভাল লাগে আর সেই ভাললাগা থেকেই তোমাকে আমি কখন যে এতটা ভালবেসে ফেল্লাম আমি নিজেও জানিনা,অনেক ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে, তোমার কথা ভেবে কেটে যায় আমার সারা বেলা, জানিনা আমি কোন ভুল করেছি কিনা, তবে শত ভুল আর বাধা পেরয়ে আমি তোমার হতে চাই, এই মনটা সারাক্ষণ ভেবে যায় তোমার কথা, নিস্পাপ এই মনটাকে কি দিয়ে বুঝাব বল,আমি যে আর পারছি না, I LOVE YOU *মুন্নি* I LOVE YOU
এই চিঠিটা পাওয়া মাত্রই তুমি আমাকে উত্তর দিও। অপেক্ষায় থাকব
ইতি-
(স্বপ্নের মানুষ)
তারপর কলিকে চিঠিটা দিয়ে আমি চলে গেলাম, আমি কলির কাছে জানতে পারলাম চিঠিটা ও মুন্নিকে দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু এক সপ্তাহ হয়ে গেল আমি কোন উত্তর পেলাম না, একদিন কলেজে গিয়ে দেখি কলি আর মুন্নি দারিয়ে আছে, কলি আমাকে ডেকে বললো, ভাইয়া এদিকে এস। কলির ডাকে আমি ওদের কাছে গেলাম, আজকে অসাধারন লাগছে মুন্নিকে, এর মাঝে আস্তে আস্তে মুন্নিকে কি যেন বললো কলি,এরপর কলি বললো আমি একটু দোকানে যাচ্ছি তোমরা কথা বল, এই প্রথম মুন্নির সামনা সামনি আমি দারাবার সুযোগ পেলাম, এর আগে মুন্নি আমাকে তেমন ভাবে চিনতো না, কলি হয়তো চিনিয়ে দিয়েছে যে আমিই ওকে চিঠিটা দিয়েছি,মুন্নি আমাকে বললো আপনিই কি কলির মামাতো ভাই? আমি বললাম হা, ও হেসে আমাকে বললো ভাইয়া, আপনি মনে হয় আমাকে একটা চিঠি দিয়েছিলেন?চিঠির কথা শুনে আমি লজ্জায় আর ওর দিকে আর তাকাতে পারলাম না, আমি নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম হা, ও বললো ভাইয়া আমিতো এখনো অনেক ছোট, এই মুহূর্তে এরকম একটা সম্পর্কে জারানো কি ঠিক হবে আমার জন্যে?আমি কিছু বলতে পারছিলামনা, আমার হার্টবিট বারতে লাগলো,আমি নিচদিকে তাকিয়েই বললাম ঠিক আছে আমি তাহলে এখন যাই, এই বলে আমি চলে এলাম, ওর সামনে গেলে কেন আমার সবকিছু এমন উলট-পালট হয়ে যায় কিছুই বুঝতে পারছিলামনা, তারপর দশ বারো দিন চলে গেল ওর সাথে আমার কোন কথা হয়না ওকে দেখলে আমি অন্য দিক দিয়ে চলে যেতাম, ভাবলাম আর কখনো ওর সামনে যাবো না, আমাকে দিয়ে এগুলো কিচ্ছু হবেনা, তারপরও ওকে ভাবতে আমার ভাল লাগতো, অনেক দিন হয়ে গেল ওর সাতে আমার দেখা হয় না, একদিন কলি আমাকে বললো মুন্নি নাকি আমাকে খুজতেছে, কলির কথা শুনে আমি ততটা গুরুত্ত দিলামনা, আমি কয়েকদিন কলেজে যেতে পারি নাই যার কারণে কলি বা মুন্নি কারও সাথেই আমার যোগাযোগ হয়নি, তারপর একদিন আমি কলেজে গিয়ে দেখি আমাদের কলেজের সামনে ছোট একটা ফুল বাগান ছিল ওখানে দারিয়ে আছে মুন্নি, আমাকে দেখে এগিয়ে এসে বললো ভাইয়া অনেক দিন আপনাকে দেখছি না কেমন আছেন? আমি তারপরও ওর দিকে তাকাতে পারছিলামনা অনেক কষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম ভাল, তুমি কেমন আছ? ও বললো জি ভাল আছি, আজ ও এমন ভাবে সেজেছে যে অনেক সুন্দর লাগছে ওকে, মনে হয় ডানা কাটা পরি মাটিতে নেমে এসেছে, আমি কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বললাম তুমি অনেক সুন্দর, ও আমাকে বললো কি যে বলেন না ভাইয়া, আমি বললাম সত্যি বলছি একটা মানুষ এত সুন্দর হতে পারে এটা আমার জানা ছিল না, তারপর ও সজোরে হেসে বললো আপনি পারেনও ভাইয়া। এভাবে প্রতিদিন আমাদের কথা হত, কথা বলতে বলতে এক সমায় আমাদের প্রেম হয়ে যায়, একজন অন্যজনকে না দেখে থাকতে পারতাম না, ও আমাকে বলতো তোমাকে একদিন না দেখলে মনে হয় যেন আমার দম বন্ধ হয়ে যায়, আমিও ওকে না দেখলে থাকতে পারতাম না, ও আমাকে গান শুনাত, একদিন তোমাকে না দেখলে বড় কষ্ট হয়,সেই দিনটাই যেন আমার বন্ধু নষ্ট হয় বড় কষ্ট হয়। ওকে পেয়ে মনে হল আমি যেন বিশ্বটাকে জয় করে ফেলেছি, এভাবে প্রায় সাত মাস চলে গেল, এরই মধ্যে আমার ইন্টেরমিডিয়েট শেষ হয়ে গেল, বাবা আমাকে ডিপ্লমা পড়ানোর জন্য ঢাকা পাঠাবে বলে ঠিক করলেন, কিন্তু মুন্নি কুমিল্লায় থাকবে আর আমি ঢাকায় চলে যাব এটা কিছুতেই আমার মন চাচ্ছিল না, মুন্নিকে বল্লে ও আমাকে ঢাকাতেই ডিগ্রি পরার পরামর্শ দিল, তাই বাবার আদেশই আমাকে মানতে হল, কলেজে গেলাম ওর কাছ থেকে বিদায় নেওয়র জন্যে। ও শুনেছে আমি চলে যাচ্ছি এই শুনে ও মন খারাপ করে বসে আছে, আমি গিয়ে বললাম মুন্নি আমি কাল সকালে চলে যাচ্ছি, ও বললো যাও যাও চলে গেলেতো আর কাউকে ধরে রাখা যায় না, আমারও বুক বেঙ্গে যাচ্ছে, যে ওকে না দেখে থাকবো কি করে, আমার পা চলছে না, মনে হচ্ছে হাঁটার শক্তি নেই, তারপর আমি বললাম রাগ করোনা প্লিজ আমরা ফোনে প্রতিদিন কথা বলব, তখন ও বললো শিশির এ কি মাটি ভিজে? বৃষ্টি না এলে, ফোনের কথায় কি মন ভরে? কাছে না পেলে, আমি বললাম জান, মনে করো আমি সবসময় তোমার সাথে আছি, তুমি কখনও আমাকে ভুলে যেও না, ও আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছে না, আমি ওর থেকে বিদায় নিয়ে বাড়িতে চলে এলাম, আম্মুকে বললাম আম্মু আমার যেতে ইচ্ছা করছে না, আম্মু বললো কি বলছ বাবা দরকার হলে পড়াশোনার জন্য বিলেতেও যেতে হয় যাও বাবা অমত করো না, আম্মুতো জানেনা কেন আমি যেতে চাচ্ছি না, যাক আর কি করবো পরের দিন আমি ঢাকায় চলে গেলাম, ফোনে প্রতিদিন আমাদের কথা হতো, রাত পার হয়ে যেত কিন্তু আমাদের কথা শেষ হত না, এর মধ্যে দুই মাস চলে গেল আমি এক বার এসে ওর সাথে দেখা করে গিয়েছিলাম, দুই মাস পর দেখা আনন্দটাই ছিল অন্যরকম, অনেক ঘুরাগুরি করলাম, মজা করলাম তারপর আমি আবার ঢাকায় চলে গেলাম, আবার ফোনে চলতে থাকে আমাদের কথা, এর মধ্যে আমার এক সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল, ও জানতো আমার পরীক্ষা, এর জন্য ওকে আমি কিছু দিন ফোন দিতে পারিনি, এর মধ্যে ও আমাকে একদিন ও ফোন করেনি, পরীক্ষার পর ওকে আমি ফোন করে দেখি ওর নাম্বারটা বন্ধ, অনেক চেষ্টা করেও ওকে আমি পাচ্ছিলাম না, আমার কিছুই ভাল লাগেছে না, ভাবলাম কখন যে কথা বলবো ওর সাথে, আমার পরীক্ষার মাঝে ওর ফোন বন্ধ ছিল কিনা তা আমি জানতাম না, পরীক্ষা শেষ হল চার পাঁচ দিন হয়ে গেল কিন্তু এখনো ওর ফোন বন্ধ, ওর শুধু একটাই নাম্বার ছিল আমার কাছে, কি যে করি কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না, ওর বন্ধ সিমে আমি একটা এস এম এস পাঠিয়ে দিলাম, কিন্তু কোন রিপ্লাই পেলাম না, সারাক্ষণ ওর নাম্বারে ট্রাই কররতাম কিন্তু কোন কাজ হতনা বন্ধই পেতাম, এর দুই তিন দিন পর কলি আমাকে ফোন করে বললো ভাইয়া তুমি তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসো মুন্নির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, আমি হঠাৎ করে চমকে উঠলাম বললাম কি? তুই সত্যি বলছিস?? ও বললো হা ভাইয়া সত্যি বলছি, আমার ও বিশ্বাস হল কারন অনেক দিন ওর ফোন বন্ধ,আমি আর দেরি না করে সবকিছু গুছিয়ে বাড়ি চলে এলাম, পরের দিন আমার বন্ধু রনির বারিতে গেলাম, রনির বারি মুন্নির পাশের বারি, রনি আগে থেকেই সব জানতো, রনি আমাকে দেখে বললো মুন্নির নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে? আমি বললাম সত্যি নাকি? রনি বললো আমি শুনেছি সত্যি কিনা তা জানিনা, আমি রনিকে বললাম আমিও তাই শুনেই ঢাকা থেকে চলে আসলাম, ওর সাথে দেখা করার খুব দরকার, প্লিজ ওকে একটু ডেকে নিয়ে আয় না, আমি ওর থেকে শুনতে চাই ও কি ওই বিয়েতে রাজি কিনা, রনিকে পাঠালাম ওদের বারিতে, অনেকক্ষণ হয়ে গেল কিন্তু রনিতো এখনো আসছেনা মুন্নিকে নিয়ে, আমি খুব চিন্তায় পরে গেলাম কি জানি কি হয়, একটু পরে দেখি রনি আসছে মুন্নিকে নিয়ে, ও আমার সামনে এসে দাড়াতেই বললাম কি হয়েছে তোমার? ও বললো কই কিছু হয়নি তো, আমি বললাম তাহলে তোমার ফোন বন্ধ কেন, ও বললো আমার বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে ফোনে কথা বলে আর কি হবে, এ কথা শুনার পর যেন আকাশটা ভেঙ্গে আমার মাথায় পড়লো, আমি বললাম কি বলছো মুন্নি আমাদের ভালবাসার কি হবে? আমিতো তোমাকে ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারিনা, প্লিজ তুমি এরকম করনা, চল আমরা পালিয়ে যাই, ও বললো না আমি পারবনা আমার বাবার মুখে চুনকালি দিতে, আর তোমার সাথে পালিয়ে গিয়ে কি লাভ হবে আমার, তুমিতো সাধারন দিপ্লমা করতেছ, যার সাথে আমার বিয়ে টিকে হয়েছে সে আয়ারলেল্ডে থাকে, নিজের বিজনেস আছে, বিয়ের পর আমাকেও আয়ারলেল্ডে নিয়ে যাবে, ওর কথা গুলো শুনে আমার চোখে অশ্রু চলে এল আর কান্না ধরে রাখতে পারলাম না, হয়তো কেউ ওকে এই এই কথা গুলো শিখিয়ে দিয়েছে, আর না হলে কেন একথা বলছে, যে আমাকে পাগলের মত ভালোবাসতো হঠাৎ করে এত বদলে যেতে পারেনা, আমি বললাম তাহলে কেন আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলে? ও চুপ করে দারিয়ে রইল, আমি বললাম আজ তুমি রঙ্গিন চশমা পরে লোভের মুখে অন্ধ হয়ে গেছ আমার কোন কথা তোমার কানে যাচ্ছে না, স্বার্থপরের মত আমাকে আজ দূরে ঠেলে দিচ্ছ, ও বললো এটাই আমার শেষ কথা আমি আর তোমার সাথে কোন কথা বলতে চাই না, একথা শুনে আমার মাথা ঘুরছে মনে হল এক নিমিশেই পৄথিবীটা অন্দ্বকারে ঢেকে গেল, আমি দাঁড়ানো থেকে বসে পরলাম, রনি আমাকে ধরে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে এল, এর পর থেকে আমি খুব অসুস্হ হয়ে পরলাম, আসলে মনের শক্তি মানুষের সব থেকে বড় শক্তি, মনে শক্তি না থাকলে শরিরের শক্তি কোন কাজে আসে না, আমি ওর চিন্তায় দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি, এই পৄথিবীর কোর আকর্ষনই আর আমার কাছে নেই, বাড়িতে কেউ জানেনা কেন আমার এই অবস্থা, সবাই জানে আমি জ্বরের কারনে অসুস্থ, কলি আমার কাছে বসে আছে কিছু বলার মত ভাষা নেই ওর, আমার কষ্টে ও আজ নিরব, বিকালে রনি আসলো ,আমি বললাম আমার কিছুই ভাল লাগছে না, এই পৄথিবীতে বেচে থেকে আমার কোন লাভ নেই, আমাকে আকরশন করার মতো এই পৄথিবীতে আর কিছুই নেই, তাই আমি সিদান্তু নিয়েছি নিজেকে শেষ করে দেব, রনি আর কলি আমাকে অনেক বুঝালো, বললো কাপুরুষের মতো কথা বলিস না, জীবন মানে যুদ্ব, জিবনের সাথে যুদ্ব করেই বেঁচে থাকতে হবে, আমি বললাম কি নিয়ে বেচে থাকবো বল, নিরঘুম রাত আর এলোমেলো সময়ে মনে পরে শুধু ওর কথা, বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠে ওর মুখক্ষানি, এরই মাঝে দশ বারো দিন চলে গেল, রনি আমাকে ওর বিয়ের আগের দিন ফোন করে জানালো কাল মুন্নির বিয়ে, একথা শুনে আমি আরও অসুস্থ হয়ে যাই, ওর বিয়ের দিন আমি উঠে বসার শক্তিও পাচ্ছিলাম না, বধু সাজে ওকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল, কিন্তু কি করে দেখবো আমি যে উঠে দাড়াতে পারছি না, রাত হয়ে গেল, আজ ওর বাসর আর আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে কাদছি, অসুস্থ অবস্তায় একটা গান গাইতে লাগলাম,
সুখের বাসরে তুমি ঘুমিয়ে যখন
আমার দুই চোখে জল ঝরছে তখন
পূর্ণতা পেল আজ তোমার জীবন
আমার জীবন ঘিরে নামলো আধার
নিঃস্ব হলাম আমি নিঃস্ব হলাম
তোমাকে হারিয়ে আমি সব হারালাম।
রাত প্রয় শেষ কিন্তু আমার ঘুম আসে না, আজ আমার মুন্নি অন্যজনের হয়ে গেল, ঘুম নেই দুটি চোখে অনেক কষ্ট জমাট ভরা আমার এ জীবন, এ কষ্টকে ভুলতে অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু না তা আর হল না আরো অনেক কষ্ট নিয়ে চলছি, কেন এমন হল, জানি অনেক কথারই হয়না উত্তর, তবুও কেন এত কষ্ট পেলাম, সত্যি এই পৄথিবীটা অনেক মারাময়, আমারও তো একটা স্বপ্ন ছিল সেই স্বপ্নটা কেন সফলতা পেল না, কেন আজ আমি এত কষ্টের আগুনে জ্বলে পুড়ে মরছি, আমি কি অপরাধ করেছিলাম জানিনা, এভাবে কষ্টের আগুনে পুড়তে পুড়তে চলে গেল প্রয় আরাই বৎসর, মুন্নি কেমন আছে তা আমি আজও জানিনা,ওর সাথে আর যোগাযোগ হয়নি আমার মনে হয় ও অনেক সুখে আছে, এর কয়েক দিন পর রনি আমাকে ফোন করে বললো, মুন্নির নাকি ডিবোর্ছ হয়ে গেছে ওর নাকি এক বৎসরের একটা কন্যা সন্তান ও আছে, আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম, হায় আল্লাহ এটা কি হল, ওর জীবনটা আবার কেন এমন হল, ও নাকি ওর বাপের বাড়ি চলে এসেছে, আমি অনেক চেষ্টা করেছি ওর সাথে দেখা করতে কিন্তু কিছুতেই ওর দেখা পেলাম না, ইচ্ছা করে যদি কেউ নিজেকে আড়াল করে রাখে তাহলেতো কেউ তাকে খুজে পাবে না, অনেক বার রনিকে পাঠিয়েছি কিন্তু ও ঘর থেকেই নাকি বাইরে আসে না , এরপর আমি প্রতিদিন রনিদের বাড়িতে যেতাম যদি মুন্নির সাত একবার দেখা হয় এই ভেবে, একদিন আমি রনিদের বাড়ি থেকে আসার পথে দূর থেকে দেখলাম রিক্সশায় করে আসছে মুন্নি, দূর থাকেই ওকে দেখে আমি চিনে ফেলিছি, কাছে আসতেই ওর রিক্সশার সামনে গিয়ে দারালাম আমি, চালক রিক্সশা বন্ধ করলো, আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম কেমন আছ? ও নিচের দিকে তাকিয়ে আছে,আমি বললাম কথা বলছনা যে? ও আমার দিকে তিকিয়ে কেদে ফেললো, ওর বাচ্ছাটা কোলে, এত সুন্দর হয়ছে ঠিক যেনো মুন্নির মত, বাচ্চাটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে মায়াবিন দৃষ্টতে, মুন্নি কাদতেছে আমি বললাম রিক্সশা থেকে নামো, ও নামছে না, অনেক পিড়াপিড়ি করে ওকে নামালাম, আমি একটা সি এন জি ডেকে বললাম চল, ও কাঁদতে কাঁদতে বললো কোথায়? আমি বললাম তোমার ব্যাপার সব আমি জেনেছি,তারপরও আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই, চল কাজী অফিসে যাব, ও আমাকে না বললো, এর পর আমি আর কিছুতেই ওকে রাজি করাতে পারলাম না, অনেক চেষ্টা করলাম কোন কাজ হল না, ও চলে গেল, আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁদতে লাগলাম, আজ আমি আমার সব কষ্ট ভুলে গেছি, ওর দুঃখে আজ আমি সবচেয়ে বড় দুঃখী, পৄথিবীতে যাকে এতো বেশী ভালবাসি সেই আজ সুখে নেই, এটা মেনে নিতে পারছিলামনা, কেন এমন হল, হায়রে নিয়তি, নিয়তি মানুষকে কখন কোথায় নিয়ে যায় তা কেউ কখনো বলতে পারে না, আজ আমি নিয়তির স্বীকার, তারপরও আমি মুন্নির অপেক্ষায় আছি, যদি কোন দিন ফিরে আসে বরন করে নেব।

গল্পটি ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুরে আসতে পারেন


Post Comment

ভালবাসার কষ্ট

জানিনা কেনো আজ এতদিন পর তানিয়াকে এতোটা মনে পরছে। কোনভাবেই মাথা থেকে ওকে সরাতে পারছিনা। ওর সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর মাত্র আট মাস টিকেছিল তারপরই সব শেষ। যেভাবে ঝরের গতিতে আমার জীবনে এসেছিল ঠিক সেভাবেই ঝড়ের গতিতে চলে গেল। ওর জন্যে আমার কষ্ট হয়, প্রথম প্রেম বলে কথা ওকে কখনোই ভুলতে পারিনি আর পারবো বলেও মনে হয়না।
প্রেম-ভালবাসার প্রতি আমার বিন্দু পরিমাণও আসক্তি ছিল না কিন্তু ওই আমারা ভিতর সেই আগ্রহ তৈরী করেছে।
হঠাৎ একদিন রাতে আমাকে ফোন করে বলছে "I LOVE YOU" এখন আমাকে বলেন
আমি বল্লাম কি?
বলে আমি যেটা বল্লাম আপনাকে সেটা
বল্লাম পারবোনা।
(পরে জেনেছিলাম ওর বান্দ্ববীদের সাথে বাজী ধরে এই কাজটা করেছিল)
যাই হোক এভাবেই শুরু..........ধীরে ধীরে প্রেম ভালবাসার প্রতি আগ্রহ বাড়ল ফলে ওকে কখন যে ভালবেসে ফেল্লাম টেরই পেলাম না। ওউ আমাকে অনেক ভালবাসত.........যদিও বাজী ধরে শুরু করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে আমার ভালবাসার কাছে হার মানতে হয় ওকে।
হঠাৎ একদিন বলছে আমার জন্যে বাড়ী থেকে ছেলে দেখছে......তুমি আমাকে বিয়ে কর। কিন্তু আমি যে তখন বিয়ে করার অবাস্হায় নেই এটা ওকে কি করে বুঝাই? ফলে ওকে আমি বুঝাতে লাগলাম.......... কিছুই বলত না।
ধীরে ধীরে ওর বিবাহের দিন ঘনিয়ে এল কিন্তু আমি আর থাকতে পারলাম না তাই একদিন রাতে সিদ্বান্ত নিলাম কালই ওকে আমি বিয়ে করব পালিয়ে নিয়ে। ওদিন রাতে অনেক্ষন কথা হল ওর সাথে কিন্তু বলার সাহস পেলাম না চিন্তা করলাম কাল ওকে চমকে দিব।
কিন্তু কে জানত যে ওর সাথে আমার বিয়ে হবে না কখনোই............................................... তারপর দিন ঘুম থেকে উঠতেই দেখি ওর নাম্বার থেকে ফোন.....খুশিতে ভরে উঠল মনটা কিন্তু রিসিভ করেই আমার খুশি সব কান্নায় রুপান্তরিত হল। দেখি ওর ছোট বোন ফোনে কাঁদছে কি হয়েছে জানতে চাইলেই যা বল্ল তার জন্য আমি কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না।
বলে তা......নি......য়া..... আপু আত্মহত্যা করছে।
আমি আর কোন কথাই বলতে পারলাম না, আমার সব শেষ হয়ে গেল।
আমি ওকে বলেছিলাম আমি যেখানেই থাকব সেখানেই ওকে নিয়ে যাব আর যেখানেই থাকবে সবসময় ওর সাথে থাকবো..........................................তাই এখন চিন্তা করছি আমারও ওর কাছে চলে যাওয়া উচিৎ.........................................স্বপ্নের মানুষ আমি স্বপ্নেই থেকে যাই..........................................বিদায়.............................


গল্পটি ভাল লাগলে আমার ফেসবুক আইডি থেকে ঘুরে আসতে পারেন
       (লিঙ্কে ক্লিক করে উপরের ডান পাশ থেকে Skip Ad এ ক্লিক করুন)



Post Comment